এলওসি বরাবর ভয়াবহ সংঘর্ষ
পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করলো ভারত
প্রকাশ : ০৪-০৫-২০২৫ ১১:৫৬

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে। এদিকে পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটকের দাবি করার পর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর পাকিস্তান ও ভারতের সেনাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এটিকে সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ শনিবার রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে। এর আগে গত ২৩ এপ্রিল বিএসএফ কনস্টেবল পূর্ণম কুমার সাহুকে আটক করে পাকিস্তান। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে কৃষকদের পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন সাহু।
এদিকে আটক হওয়া পাকিস্তানি রেঞ্জারের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বর্তমানে বিএসএফের রাজস্থান ফ্রন্টিয়ারের হেফাজতে আছেন।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে ভুল করে পার হওয়া সৈন্যদের ফেরত দেওয়ার একটি প্রচলিত প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু সম্প্রতি উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তান সাহুকে ফেরত দিচ্ছে না, ফলে ভারতও পাকিস্তানি রেঞ্জারের ফেরতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এদিকে এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রেঞ্জারকে আটক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এলওসি বরাবর বিভিন্ন সেক্টরে বিনা উসকানিতে গুলি চালাতে শুরু করে। এটি ১০ দিন ধরে চলা সংঘর্ষের ধারাবাহিকতার অংশ।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধর, নৌশেরা, সুন্দরবানি এবং আখনুর সেক্টর জুড়ে এই হামলা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীও উপযুক্ত জবাব দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এটি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ, যেখানে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি পোস্ট অংশ নেয়। অবশ্য এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বিএসএফ সদস্য সাহুর মুক্তির জন্য একাধিক বৈঠক হলেও পাকিস্তান এখনো কোনো সময়সীমা বা অবস্থান স্পষ্ট করেনি।
কয়েকদিন আগে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।
অন্যদিকে পেহেলগামের হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
এই পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তান শনিবার ‘আবদালি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। ভারতের কর্মকর্তারা এটিকে ‘খোলামেলা উসকানি’ বলে মন্তব্য করেছেন। ৪৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তান ‘সিন্ধু মহড়ার’ অংশ হিসেবে পরীক্ষা করেছে বলে জানিয়েছে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com