ব্রিটিশ রাজপরিবারে ফিরতে চান প্রিন্স হ্যারি, রাজা চার্লসের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ
প্রকাশ : ০৩-০৫-২০২৫ ১১:১৮

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রিটিশ রাজপরিবারে ফিরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি। বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ ইচ্ছার কথা জানান তিনি। আবেগঘন ওই সাক্ষাৎকারে বাবা রাজা চার্লসের স্বাস্থ্য নিয়ে তার উদ্বেগ এবং যুক্তরাজ্যে নিরাপত্তা কমানো সংক্রান্ত মামলায় হারে ‘বিপর্যস্ত’ হ্যারির কণ্ঠে ঝরে পড়েছে হতাশার সুর।
হ্যারি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে বাবা (চার্লস) আমার সঙ্গে কথা বলবেন না। কিন্তু আমি আর লড়তে চাই না। তা ছাড়া, বাবা কতদিন বাঁচবেন তাও আমি জানি না।
১৫ মাস আগে যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লসের ক্যানসার ধরা পড়ে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। কিছুদিন আগে চার্লস ব্যক্তিগত এক বার্তায় তার ক্যানসারের অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। এরপরই বাবাকে নিয়ে ওই কথা বললেন প্রিন্স হ্যারি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বিবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হ্যারি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যে সফরকালে হ্যারি ও তার পরিবারের পুলিশি নিরাপত্তা মাত্রা নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ে হেরে যাওয়ার পর প্রিন্স হ্যারি এই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। শুক্রবার (২ মে) মামলার রায় ঘোষণা করেছেন লন্ডনের আপিল আদালত।
২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে স্ত্রী মেগানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি। এরপর যুক্তরাজ্য সরকার হ্যারিকে আর আগের মতো সরকার-প্রদত্ত নিরাপত্তা না দেওয়া এবং প্রতিটি সফরের ক্ষেত্রে তা আলাদাভাবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রথম মামলায় হারের পর হ্যারি আপিল করেন। তার আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, হ্যারিকে অযৌক্তিক ও কম মানের নিরাপত্তা দিয়ে অন্যদের তুলনায় আলাদাভাবে দেখা হয়েছে। কিন্তু আদালত সেই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সরকারের পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, হ্যারির নিরাপত্তা কমানোর কারণ হচ্ছে, তার রাজকীয় অবস্থানের পরিবর্তন। তিনি এখন বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে বাস করেন।
মামলায় আবারো হারের পর হ্যারি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে চাই। আইনি লড়াই করার আর কোনো মানে হয় না। জীবন মূল্যবান।
তিনি আরো বলেন, আমার পরিবারের কিছু সদস্য এবং আমার মধ্যে অনেক মতবিরোধ, মতভেদ আছে। কিন্তু এখন সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্ত্রী মেগান এবং সন্তানকে রাজপরিবারে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব না সেকথাও বলেছেন হ্যারি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছেন তার ফলে পরিবারসহ নিরাপদে যুক্তরাজ্যে ফেরা অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com