অভিযোগ প্রমাণ হলে জেলে যেতে রাজি : গাজী সালাউদ্দিন তানভীর
প্রকাশ : ২১-০৫-২০২৫ ১৭:৩৭

ফাইল ছবি
সিনিয়র রিপোর্টার
প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীর বলেছেন, ‘দুদকে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগের কারণে তাকে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় হতে হয়েছে। এটারও যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে জেলে যেতে রাজি তিনি।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকাল ১০টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত তাকে দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এনসিপির সাবেক নেতা গাজী সালাউদ্দিন বলেন, ’গণমাধ্যমে এসেছে ১১০ কোটি টাকা, কাগজে ৪০০ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়, এটা হয় কীভাবে? কিছুদিন আগেও ২৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয়টি এসেছে। যে কোনো অ্যাঙ্গেলে এর হিসাব খতিয়ে দেখা উচিত। এর সঠিকভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। অন্যদিকে ৬৪ জেলায় ডিসি নিয়োগ এটা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাকে তো মহাশক্তিশালী হতে হবে।’
এছাড়াও দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী ও বর্তমান পিও ডা. মাহমুদুল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তারাও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্টরা দুদকের কাছে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিস্তারিত পর্যালোচনা করে তাদের প্রতিবেদন দেবেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের দুদকে উপস্থিত হয়ে তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাবেক এনসিপির এই নেতার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পর্ক অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৫ মে তাকে দুদকে তলব করে চিঠি দেওয়া হয়। গত ২১ এপ্রিল এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিবের পদ থেকে গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় দলটি। চলতি বছরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনায় কমিশন বাণিজ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে তার নাম উঠে আসে।
পিপলসনিউজ/এসসি
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com