weather ২৫.৯৯ o সে. আদ্রতা ৯৪% , মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় খাদ্য সরবরাহ করে ইসরায়েল, চুরি করে হামাস: জাতিসংঘে ভাষণে বললেন নেতানিয়াহু

প্রকাশ : ২৭-০৯-২০২৫ ১২:০৬

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনে চলমান আগ্রাসনের জন্য বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। 

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের চতুর্থ দিন ছিল শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর)। এদিন ভাষণের জন্য নেতানিয়াহুর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করতে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। একপর্যায়ে তারা অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ (ওয়াকআউট) করেন। প্রতিনিধিরা যখন অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে যাচ্ছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত অনেকে হাততালি দেন। এ সময় শিস বাজাতেও শোনা যায়।

পরিষদের সভাপতি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বললেও তাতে কাজ হয়নি। পরে নেতানিয়াহু যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন তার সামনের আসনগুলো ফাঁকা দেখা যায়। প্রায় সব আরব ও মুসলিম দেশ, আফ্রিকার বেশ কিছু দেশ এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা অধিবেশন বর্জন করেছিলেন।

নেতানিয়াহুর পুরো ভাষণটি নিচে দেওয়া হলো— 

আমি আপনাদের এখন একটি সরল প্রশ্ন করতে চাই— একেবারে যৌক্তিক প্রশ্ন। যে দেশটির বিরুদ্ধে গণহত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা কি তাদের কথিত লক্ষ্যবস্তু বেসামরিক জনসাধারণকে বলবে— তোমরা সরে যাও, নিরাপদে চলে যাও? আমরা তাদের বের করে নিতে চাইছি, আর হামাস তাদের ভেতরে আটকে রাখছে।  

গণহত্যার সঙ্গে এই তুলনা, একটি সম্পূর্ণ জনগোষ্ঠীকে পাইকারি হারে হত্যা করার অভিযোগ, এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। নাৎসিরা কি ইহুদিদের ভদ্রভাবে বলেছিল, ‘আপনারা দয়া করে চলে যান’? আপনি যদি চান, আমি ইতিহাসের সব গণহত্যাকারী নেতার নাম একে একে বলতে পারি। তাদের কেউ কি এমন কাজ করেছিল? তারা কি বলেছিল, তোমরা বেরিয়ে যাও, যাতে আমরা ঢুকতে পারি? অবশ্যই না। বরং সত্যিটাকেই উল্টে দেওয়া হয়েছে।  

হামাস, একটি গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন, যার সনদে লেখা আছে— পৃথিবীর প্রতিটি ইহুদিকে হত্যা করতে হবে। এই সংগঠনটি কীভাবে যেন পেয়ে যাচ্ছে, তাদের নাম কদাচিৎ উল্লেখ করা হয়। অথচ বেসামরিক নাগরিকদের জীবন বাঁচাতে সাধ্যের সবটুকু করা ইসরায়েলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। কী হাস্যকর ব্যাপার!

আরেকটি অভিযোগ শুনবেন? ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার মানুষকে অনাহারে রাখছে। অথচ ইসরায়েল স্ব-ইচ্ছায় গাজায় খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, ইসরায়েল গাজায় দুই মিলিয়ন টনেরও বেশি খাদ্য ও মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে। অর্থাৎ, গাজার প্রতিটি পুরুষ, নারী ও শিশুর জন্য প্রায় এক টন সাহায্য। প্রতিদিন মাথাপিছু প্রায় তিন হাজার ক্যালোরি। এ কেমন অনাহার নীতি?  

যদি গাজার কোনো বাসিন্দার কাছে পর্যাপ্ত খাবার না পৌঁছায়, তবে তার কারণ হলো হামাস সে খাবার চুরি করছে। হামাস চুরি করছে, মজুত করছে এবং তাদের যুদ্ধ পরিচালনার জন্য অত্যধিক দামে তা বিক্রি করছে। 

জাতিসংঘ ইসরায়েলকে খুব একটা সমর্থন করে না। তারাও গত মাসে স্বীকার করেছে যে হামাস এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ৮৫ শতাংশ ট্রাক লুট করেছে। সেই কারণেই এই বঞ্চনা। 

যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং অনাহারের রক্তাক্ত মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়েছে, তারা সেই সব লোকের চেয়ে ভালো নয় যারা মধ্যযুগে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াত। যারা মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিল— ইহুদিরা নাকি কূপে বিষ দিচ্ছে, প্লেগ ছড়াচ্ছে, কিংবা শিশুদের রক্ত ব্যবহার করছে পাসওভারের রুটি বানাতে।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী গ্রেটা  থুনবার্গসহ ১৬৫ জন অভিযাত্রীকে গ্রিসে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল গ্রেটা থুনবার্গসহ ১৬৫ জন অভিযাত্রীকে গ্রিসে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল দায়িত্বে থাকা সরকারি চাকরিজীবীদের ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে: সিইসি দায়িত্বে থাকা সরকারি চাকরিজীবীদের ভোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে: সিইসি গাজা যুদ্ধ অবসানের প্রচেষ্টায় সম্পৃক্ত সবাইকে দ্রুত এগোতে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধ অবসানের প্রচেষ্টায় সম্পৃক্ত সবাইকে দ্রুত এগোতে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের জয়পুরে হাসপাতালে আগুন, ৮ রোগীর মৃত্যু ভারতের জয়পুরে হাসপাতালে আগুন, ৮ রোগীর মৃত্যু