জাকসু নির্বাচনেও এক দম্পতির জয়
প্রকাশ : ১৫-০৯-২০২৫ ১১:৪২

ছবি : সংগৃহীত
জাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পর এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনেও জয়লাভ করেছেন এক দম্পতি। ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় পেয়েছেন তারা।
এই দম্পতি হলেন জাবির গণিত বিভাগের তারিকুল ইসলাম ও ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নিগার সুলতানা। তারিকুল ইসলাম জাকসুর কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এক হাজার ৭৪৬ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আর নিগার সুলতানা সহসমাজসেবা ও মানবসেবা উন্নয়ন সম্পাদক (নারী) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দুই হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এক দম্পতি জয় পেয়েছিলেন। তারা হলেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দীন ও তার স্ত্রী উম্মে ছালমা। ডাকসু নির্বাচনে রায়হান হয়েছেন কার্যনির্বাহী সদস্য আর ছালমা নির্বাচিত হয়েছেন কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক। দুজনেই ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় জাকসু নির্বাচন। নির্বাচন শেষে ৪৪ ঘণ্টা পর ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বিজয়ী হওয়ার পর তারিকুল ও নিগার সুলতানা দম্পতি প্রশংসায় ভাসছেন।
তারিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সমাজসেবা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে নিগার সুলতানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাবের কো-হেড (ফিমেল সেকশন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া জাকসুর ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের মধ্যে সহসমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০টি হলেই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন নিগার সুলতানা। কেবল আল-বেরুনী হলে তিনি ৩৫টি ভোট পেয়ে ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছেন।
তারিকুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের জুলাই মাসে পারিবারিকভাবে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনের অঙ্গীকার করে তারিকুল ইসলাম বলেন, জাকসুতে আমার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ছিল ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। আর আমার স্ত্রীর সঙ্গে সংগঠন থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তখন উনি রাজি হয়ে আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি অ্যাপ্রিশিয়েট করেছিলাম যে একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী নির্বাচন করব। তারপর দুজনই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি এবং দুজনকেই শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করেছেন, এটি খুবই আনন্দের বিষয়। শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর যে আস্থা নিয়ে নির্বাচিত করেছেন, সেসব অঙ্গীকার আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব ইনশাআল্লাহ।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com