ড. মইনুলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ অস্ট্রেলিয়ায় তিন বাড়ির সত্যতা পেয়েছে দুদক
প্রকাশ : ২৫-০৫-২০২৫ ১৯:১৭

ফাইল ছবি
সিনিয়র রিপোর্টার
অস্ট্রেলিয়াতে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সাবেক এই মহাপরিচালকের (ডিজি) অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি বিলাসবহুল বাড়িও খোঁজ পাওয়া গেছে।
পিপলসনিউজ/এসসি
এ তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে সংস্থাটি। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের চাপে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে।
দুদক সূত্র জানা যায়, মইনুল খান ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে বিপুল অঙ্কের ঘুষ ও মাসোহারা গ্রহণ করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, আমিন জুয়েলার্স থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড থেকে প্রতি মাসে ১ কোটি, অলংকার নিকেতন থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ এবং জড়োয়া হাউস থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা আদায় করেন তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস) থেকে এককালীন ৫০ কোটি টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ভুয়া সোর্স মানি দেখিয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা দপ্তরের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও উত্থাপিত হয়েছে। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক। গত ১৪ মে ড. মইনুল খানের অবৈধ সম্পদ, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে রিট করা হয়েছে। দুদকে অভিযোগকারী এসএম মোরশেদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সাগরিকা ইসলাম রিটটি করেন।
রিটে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
২০১৯ সালে রিট করাকালে ড. মইনুল খান বলেছিলেন, আমি অত্যন্ত পেশাদারি মনোভাব নিয়ে সরকারের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করেছি। ইন্টারনেট থেকে তিনটি বাড়ির ছবি ডাউনলোড করে আমার বাড়ি বানিয়ে মিথ্যা ও কল্পকাহিনি তৈরি করা হয়েছে। বাস্তবে এসব ঠিকানার কোনো অস্তিত্বই নেই। গুগলে যে কেউ এর সত্যতা যাচাই করতে পারেন। চোরাচালানবিরোধী অবস্থানকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা তাকে হেয় করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তার ভাষ্য মতে, চোরাচালানিদের বিরুদ্ধে আমার পূর্বের দৃঢ় অবস্থানের কারণে কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা বিভিন্নভাবে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করতে পারেন। শুধু স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়েই প্রায় ৫২ মণ সোনা বিমানবন্দর ও অন্যান্য এলাকা থেকে জব্দ করে সরকারের কোষাগারে জমা করেছি। এর আর্থিক মূল্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। আমি মনে করি, উড়ো চিঠির মাধ্যমে যে-সব অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যতা বেরিয়ে আসবে। দুদকের অনুসন্ধানকে আমি স্বাগত জানাই।
পিপলসনিউজ/এসসি
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com