তুমি কি রাতে ঘুমাও, সৌদি যুবরাজকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশ্ন
প্রকাশ : ১৪-০৫-২০২৫ ১৬:১৪

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি আরবকে বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি যুবরাজকে ব্যতিক্রমধর্মী এক প্রশ্নও করেন- তুমি কি রাতে আদৌ ঘুমাও?
সৌদি রাজধানী রিয়াদে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনে বুধবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় দেওয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, ‘মোহাম্মদ, তুমি কি রাতে ঘুমাও? কীভাবে ঘুমাতে পারো তুমি?’- এই প্রশ্নে তিনি সৌদি আরবের ডি-ফ্যাক্টো শাসকের কঠোর পরিশ্রম ও নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি আমাদের অনেকের মতোই সারা রাত এপাশ-ওপাশ করেন এই চিন্তায়- কীভাবে আরো ভালো করা যায়। যারা রাতে এমন করে না, তারা কখনো আপনাকে প্রতিশ্রুত ভূমিতে নিয়ে যেতে পারবে না।’
৭৮ বছর বয়সী মার্কিন প্রেসিডন্ট বলেন, ‘সমালোচকেরা ভেবেছিল সৌদির উত্থান সম্ভব নয়। কিন্তু গত আট বছরে সৌদি আরব তাদের ভুল প্রমাণ করেছে। কী দারুণ কাজ করেছে যুবরাজ! আমি তাকে পছন্দ করি, সত্যিই অনেক বেশি পছন্দ করি।’ ট্রাম্পের এমন উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় যুবরাজ বিন সালমান হাসেন এবং দর্শকরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প জানান, এমবিএস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের অনুরোধে তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছেন। এ সময় রসিকতার সুরে বলেন, ‘আহ, যুবরাজের জন্য আমি কত কিছুই না করি!’
বক্তব্যে তিনি সৌদি আরবকে ‘বিশ্বের কেন্দ্র’ বলেও অভিহিত করেন। তবে সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি কিংবা ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ট্রাম্প। সম্মেলনে ট্রাম্প ১৪২ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের সৌদি বিনিয়োগ প্যাকেজের কথা তুলে ধরেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্প ও এমবিএসের সম্পর্ক মূলত অভিন্ন স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ট্রাম্প যেখানে বড় অর্থনৈতিক সাফল্য ও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পুনরুত্থান চান, সেখানে যুবরাজ খুঁজছেন উন্নত প্রযুক্তি, সামরিক সহায়তা ও আঞ্চলিক নেতৃত্বের জন্য একটি শক্তিশালী মিত্র।
তবে এই ঘনিষ্ঠতা নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতা, মানবাধিকার সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষকদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। তাদের মতে, এই সম্পর্ক অর্থনৈতিক স্বার্থকে মানবাধিকারের চেয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com