weather ২২.৯৯ o সে. আদ্রতা ৬০% , বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনীর অজানা অধ্যায়

প্রকাশ : ২৫-১১-২০২৫ ১৭:০৩

ছবি : সংগৃহীত

বিনোদন ডেস্ক
অনেক বছর কেটে গেলেও ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর প্রেম আজও বলিউড জগতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তাদের দেখা, কাজ করা, প্রেম এবং বিয়ে— সব মিলিয়ে তাদের জীবন যেন এক পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। সম্প্রতি ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর আবারো উঠে এসেছে এই কিংবদন্তি প্রেমকাহিনী।

হেমা মালিনী তার আত্মজীবনী ‘হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’-এ প্রথম সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে যাওয়ার সময় শুনেছিলেন ধর্মেন্দ্র শশী কাপুরকে পাঞ্জাবিতে বলছেন— ‘মেয়েটা খুব সুন্দর।’ তখনই তাকে পরিচয় করানো হয় রাজ কাপুরের ‘ড্রিম গার্ল’ হিসেবে। দুই সুপারস্টারের সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি অস্বস্তি আর নার্ভাসনেস সামলাতে পারেননি।

১৯৭০ সালে ছবির সেটে তাদের আবার দেখা হয়। তখন ধর্মেন্দ্র ছিলেন সানি ও ববি দেওলের বাবা। কিন্তু হেমাকে দেখেই তার মনে জন্ম নেয় এক নতুন অনুভূতি। হেমাও পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন— ধর্মেন্দ্রকে দেখেই বুঝেছিলাম, এমন একজন মানুষই আমার জীবনের সঙ্গী হওয়া উচিত।

দুজন একসঙ্গে কাজ করেছেন ৪২টি ছবিতে— শোলে, সীতা অউর গীতা থেকে শুরু করে নসীব ও আন্ধা কানুনসহ বহু চলচ্চিত্রে তাদের রসায়ন দর্শকদের মুগ্ধ করে যায়। কাজের ফাঁকেই কাছাকাছি আসতে থাকেন তারা।

ধর্মেন্দ্র ১৯৫৭ সালে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন। হেমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকলেও একসময় ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে অভিনেত্রী অনীতা রাজের সম্পর্ক নিয়েও শোরগোল ওঠে। এই সম্পর্কের আঁচ পৌঁছায় তার সংসারেও। বিষয়টি জানতে পেরে হেমা আঘাত পান এবং ধর্মেন্দ্রকে সতর্ক করেন। শেষমেশ ধর্মেন্দ্র অনীতা রাজের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন। অনীতা পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে পরিচালক সুনীল হিঙ্গোরানিকে বিয়ে করেন।

পাঁচ বছর প্রেম করার পরও বিয়েতে বাধা তৈরি হয়। হেমার পরিবার দ্বিধায় ছিল, আর ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ বিচ্ছেদে রাজি ছিলেন না। আইনি জটিলতার কারণে হিন্দু আইনে বিয়ে করা সম্ভব হচ্ছিল না।

অবশেষে এক চরম সিদ্ধান্ত— ধর্মেন্দ্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন; নতুন নাম নেন দিলাওয়ার খান। হেমাও রূপান্তরিত হন আইশা নামে। গোপনে দুজন সাক্ষী রেখে সম্পন্ন হয় তাদের বিয়ে। পরে দক্ষিণ ভারতীয় রীতি মেনে আরেকটি অনুষ্ঠানও হয়। ১৯৮১ সালে জন্ম নেয় তাদের প্রথম মেয়ে এশা দেওল। ১৯৮৫ সালে আসে দ্বিতীয় কন্যা আহানা।

১৯৮১ সালে স্টারডাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রকাশ কৌর বলেন— শুধু আমার স্বামী কেন, যে কোনো পুরুষই হেমাকে পছন্দ করতেন। তিনি হয়তো নিখুঁত স্বামী নন, কিন্তু একজন অসাধারণ বাবা।

তবে প্রকাশ কখনো হেমাকে দোষারোপ  না করলে জানিয়েছেন,  নিজে একই জায়গায় থাকলে হেমার মতো কাজ করতেন না। তার ভাষায়, আমি বুঝতে পারি হেমার অনুভূতি। তাকে পৃথিবীর, আত্মীয় ও বন্ধুদের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু আমি যদি হেমার জায়গায় থাকতাম, আমি হেমার মতো কাজ করতাম না। একজন স্ত্রী ও মা হিসেবে আমি এটা করতে পারি না।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

সাগরতলে সবচেয়ে দীর্ঘ ও গভীর সড়ক বানাচ্ছে নরওয়ে সাগরতলে সবচেয়ে দীর্ঘ ও গভীর সড়ক বানাচ্ছে নরওয়ে বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ রাজধানীতে ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী রাজধানীতে ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী নিউইয়র্কের ৮ অভিবাসন বিচারককে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প নিউইয়র্কের ৮ অভিবাসন বিচারককে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দল এভারকেয়ারে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দল এভারকেয়ারে