পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় সাড়ে তিন মাসে হাজার মৃত্যু
প্রকাশ : ২২-০৯-২০২৫ ১১:৩৩

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, জুন থেকে শুরু হওয়া বর্ষা ঋতুতে দেশজুড়ে প্রবল বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত এক হাজার ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭৫ শিশু, ৫৬৮ পুরুষ ও ১৬৩ জন নারী।
এনডিএমএ-র বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশে, এখানে মৃতের সংখ্যা ৫০৪। এরপর পাঞ্জাব প্রদেশে ৩০৪, সিন্ধুতে ৮০, বেলুচিস্তানে ৩০, গিলগিট-বালতিস্তানে ৪১, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৮ এবং রাজধানী ইসলামাবাদে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর পাশাপাশি দেশজুড়ে এক হাজার ৬৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩২১ শিশু, ৪৫০ পুরুষ ও ২৯২ জন নারী। সবচেয়ে বেশি ৬৬১ জন আহত হয়েছেন পাঞ্জাবে, তারপর খাইবার পাখতুনখওয়ায় ২১৮ জন ও সিন্ধুতে ৮৭ জন।
এনডিএমএ রবিবার এসব তথ্যের পাশাপাশি আরো জানায়, ২৬ জুন শুরুর পর থেকে প্রায় পাঁচ হাজার ৭৬৮টি অভিযানের মধ্য দিয়ে দুর্গত ৩০ লাখেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এনডিএমএ, প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও অন্য সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টায় এসব উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
সবচেয়ে বেশি অভিযান চালানো হয় পাঞ্জাবে। এখানে চার হাজার ৭৪৯টি অভিযানের মধ্য দিয়ে ২০ লাখ ৮১ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়। সিন্ধুতে চালানো ৭৫৩টি অভিযানে উদ্ধার হয় এক লাখ ৮৪ হাজার ১১ জন। খাইবার পাখতুনখওয়ায় বিভিন্ন দুর্গম এলাকা থেকে ১৪ হাজার ৩১৭ জনকে, গিলগিট-বালতিস্তানে এক হাজার ২৭, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৯৪০, ইসলামাবাদে ৪৯ এবং বেলুচিস্তানে ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়।
২৬ জুন থেকে কর্তৃপক্ষ বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে এক হাজার ৬৯০টি ত্রাণশিবির ও মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে বলে এনডিএমএ জানিয়েছে।
বন্যায় পাকিস্তানজুড়ে ১২ হাজার ৫৬৯টি বাড়ি ধ্বংস ও ছয় হাজার ৫০৯টি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি ২৩৯টি সেতু ও প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রাজধানী ইসলামাবাদ অঞ্চলের তিনটি সেতুও রয়েছে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com