weather ২৯.৯৯ o সে. আদ্রতা ৭৯% , বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকুড়ের শিকড় জড়ানো প্রাচীন স্থাপনা, সম্প্রতি জানা গেল মসজিদ

প্রকাশ : ০৮-০৩-২০২৫ ১১:১৫

ছবি : সংগৃহীত

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার কাহালু উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোরতা গ্রাম। এ গ্রামের গুন্নিপাড়া জঙ্গলের পথ ধরে হাঁটলে চোখে পড়বে বিশাল পাকুড়গাছ। কাছে গিয়ে ভালো করে দেখলে, গাছটির শিকড়-বাকড়ে ঢাকা প্রাচীন এক স্থাপনার দেখা মিলবে। 

প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় এক দেখায় বোঝা মুশকিল, প্রাচীন স্থাপত্যটি আসলে কী কাজে ব্যবহৃত হতো। তবে ছাদের ওপরে পাকুড়ের শিকড়-বাকড়ের মধ্যে তিনটি গম্বুজ এখনো বোঝা যায়। প্রাচীন মসজিদটির ঠিক উপরেই বেড়ে উঠে বুড়ো হয়েছে পাকুড়গাছটি। ঝোপজঙ্গলের ভেতরে থাকায় কয়েক বছর আগেও কারও নজরে আসেনি এই প্রাচীন স্থাপনাটি।

আসলে এটি যে একটি মসজিদ, তা এতকাল জানতই না স্থানীয়রা। অনেকে প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে চিনলেও সংরক্ষণ বা দেখভালের গুরুত্ব ছিল না। সম্প্রতি মসজিদ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে গ্রামবাসীসহ আশপাশের মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। বর্তমানে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই সেখানে ছুটে যাচ্ছেন মসজিদটি একনজর দেখতে।

কয়েক বছর আগে ঝোপজঙ্গল কেটে ফেলা হলে সবার নজরে আসে তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ। গুন্নিপাড়া জঙ্গলের এই প্রাচীন মসজিদের কথা স্থানীয়ভাবে প্রচার শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে, যে কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরা মসজিদটি দেখতে কাহালুতে যাচ্ছেন।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দক্ষিণে বোরতা-সিন্দুরাইল গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে মসজিদটির অবস্থান। তবে, কখন, কীভাবে কে মসজিদটি নির্মাণ করেছে, সে ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা নেই কারো। অনেকে বলছেন, ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসনামলের স্বর্ণযুগে এই মসজিটি নির্মাণ হতে পারে। ১২ ফুট দৈর্ঘ্য আর আট ফুট প্রস্থের স্থাপনাটির দেয়ালগুলো প্রায় দুই ফুটের মতো পুরু। মসজিদের গাঁথুনি পাতলা ইটের ওপর চুনসুরকির। মাথা নিচু করে ভেতরে ঢুকতে হয়। মসজিদে সাত থেকে আট জন ব্যক্তির নামাজের জায়গা রয়েছে। তবে এখন আর নামাজ পড়ার পরিবেশ নেই।

বোরতা গ্রামের কোব্বাত, মন্টু ফকির এবং শাকোহালী গ্রামের মিন্টু খান জানান, গুন্নিপাড়া জঙ্গল এলাকা ঝোপজঙ্গল আর উঁচু ঢিবির মতো ছিল। মানুষের তেমন যাওয়া-আসাও ছিল না। সময়ের প্রয়োজনে কয়েক বছর আগে সেখানকার ঝোপজঙ্গল কেটে উঁচু মাটি সমান করে ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করা হয়। তবে মসজিদের ওপর তিনটি বিশাল পাকুড় গাছ কেটে ফেলার সাহস আজও কেউ পাননি। আগে কারো আগ্রহ না থাকলেও প্রাচীনকালের এই মসজিদ দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসে।

জানা গেছে, আগে এই মসজিদে যাওয়ার মতো কোনো রাস্তা ছিল না। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ঈদগাহ নির্মাণ করার পর দর্শনার্থীদের মসজিদে যাওয়ার জন্য সরু রাস্তা করা হয়েছে।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

রোহিঙ্গাদের সিম দেবে সরকার, প্রথম ধাপে ১০ হাজার রোহিঙ্গাদের সিম দেবে সরকার, প্রথম ধাপে ১০ হাজার ভারতকে এমন শিক্ষা দেব, কখনো ভুলবে না: শেহবাজ শরীফ ভারতকে এমন শিক্ষা দেব, কখনো ভুলবে না: শেহবাজ শরীফ নৌকাসহ পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি নৌকাসহ পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি জাতীয়করণের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মহাসমাবেশ চলছে জাতীয়করণের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মহাসমাবেশ চলছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে কাজ করছে সরকার : প্রধান উপদেষ্টা