২০.৯৯ o সে. আদ্রতা ৭৮% , বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা চিরকুট
প্রকাশ : ৩০-০৮-২০২৫ ১১:৩৪
ছবি : সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবক্সে পাওয়া গেল একটি চিরকুট। তাতে লেখা রয়েছে, ‘শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ হাসবে।’
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদের ১৩টি দানবাক্স খুলে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় এনে গণনা শুরু হয়। গণনায় অংশ নিয়েছে প্রায় ৫০০ জনের একটি দল।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘শেখ হাসিনা আসবে বাংলাদেশ হাসবে, শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্দু।’
জানা গেছে, এবার চার মাস ১৭ দিন পর পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এবার আমরা চার মাস ১৭ দিন পর দানবক্স খুলেছি। এবার রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদ্রাসার ছাত্ররা টাকা গণনার কাজ করছেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। দান দানবাক্সগুলো খুলে ৩২টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।
টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান মারুফ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেছীসহ ঐতিহাসিক জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২২০ ও পাগলা মসজিদের নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১২০ জন ছাত্র, ব্যাংকের ১০০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
জনশ্রুতি আছে, এক সময় মসনদে আলা বীর ঈসা খাঁর বংশধর জিলকদর খান নামে এক সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইলের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতি স্থানে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। তার দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে মসজিদ হিসাবে ব্যবহার শুরু করেন এলাকাবাসী।
আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দান-খয়রাত করলে মনের বাসনা পূরণ হয়-এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ ছুটে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, সোনা ও রুপার অলংকারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি দান করেন।
প্রতি জুমার নামাজের দিন এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা মানুষের ঢল নামে। পাগলা মসজিদের এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও বেশি পুরনো।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com
