বনানীর সিসা লাউঞ্জে যুবক হত্যার ঘটনায় র্যাবের চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রকাশ : ১৬-০৮-২০২৫ ১৭:০৫

ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বনানীর সিসা লাউঞ্জে আধিপত্য বিস্তার ও পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রাহাত হোসেন রাব্বীকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।
উত্তরায় আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রাহাত হোসেন রাব্বী তার বন্ধু নুরুল ইসলাম খোকনসহ বনানীর ১১ নম্বর রোডের থ্রি সিক্সটি সিসা লাউঞ্জে যান। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ভবনের চতুর্থ তলা থেকে সিড়ি দিয়ে নেমে দ্বিতীয় তলায় আসার সময় মুন্না ও হামজা মিলে ভুক্তভোগী রাব্বীর পথরোধ করে দাঁড়ান। তখন ভিকটিম রাহাত মুন্নাকে চিনতে পেরে বলেন, মুন্না তুই এই সময় এখানে কেন? এই কথা বলা মাত্রই ভিকটিম রাহাতের সঙ্গে আসামি মুন্না এবং মাকসুদুর রহমান হামজার তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে আসামি মুন্না তার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ধারালো চাকু বের করে ভিকটিম রাহাতকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি আঘাত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে রাহাতকে আহতাবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রেপ্তার দুই আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ভিকটিমরে সঙ্গে গ্রেপ্তার দুজনের দীর্ঘদিন ধরে বনানী সিসা লাউঞ্জে আসা-যাওয়া এবং সিসা লাউঞ্জে ভেতর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলমান ছিল। ঘটনার দিন রাতে আনুমানিক ১টায় ভিকটিম রাব্বি আসামি মুন্নাকে উক্ত সিসা লাউঞ্জ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। যার ফলে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ভিকটিম রাহাতকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা স্বীকার করেছে। এ ছাড়া তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোড এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা একটি সুইস গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।
লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com