যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় বন্দুকধারীর গুলি-আগুন, হামলাকারীসহ নিহত ৫
প্রকাশ : ২৯-০৯-২০২৫ ১১:৩৬

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ‘চার্চ অব জিসাস ক্রাইস্ট অব ল্যাটার-ডে সেইন্টস’ গির্জায় এক বন্দুকধারী গুলি চালিয়ে অন্তত চারজনকে হত্যা করেছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো আটজন।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ওই গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে গুলির এ ঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারী গির্জাটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মিশিগানের পুলিশ প্রধান উইলিয়াম রেনি সাংবাদিকদের জানান, গ্র্যান্ড ব্ল্যাঙ্ক টাউনশিপে (ডেট্রয়েট শহর থেকে প্রায় ৫০ মাইল উত্তরে) শত শত মানুষ গির্জায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি একটি চার-দরজা বিশিষ্ট পিকআপ ভ্যানে করে গির্জার মূল দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গুলি চালানো শুরু করেন। এক পর্যায়ে বন্দুকধারী গির্জায় আগুন লাগিয়ে দেন।
তিনি আরো জানান, ৯১১-এ ফোন আসার মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এবং প্রায় আট মিনিটের মধ্যে হামলাকারীকে হত্যা করে। রেনি জানান, গির্জা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দুই কর্মকর্তা তাকে তাড়া করেন এবং গুলি বিনিময় হয়।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে গির্জা থেকে আগুন ও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়, পরে দমকল কর্মীরা তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ প্রধান জানান, হামলাকারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম থমাস জ্যাকব স্যানফোর্ড (৪০)। তিনি পাশের বার্টন এলাকার বাসিন্দা। রেনি জানান, তদন্ত এখনো চলছে এবং এখনো কোনো উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। হামলাকারীর বাড়ির রাস্তা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
রেনি আরো বলেন, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন, আর বাকি সাতজন স্থিতিশীল।
তিনি জানান, ধ্বংসস্তূপ তল্লাশি করতে গিয়ে ভেতরে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আরো মরদেহ পাওয়া যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এর আগে রেনি বলেছিলেন, অগ্নিকাণ্ডের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো ভিকটিম পাওয়া যেতে পারে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী পলা স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে বলেন, আমি বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনি এবং দরজা উড়ে যায়। আমি আমার বন্ধুদের হারিয়েছি। আমার ছোট ছোট শিশু শিক্ষার্থীরাও আহত হয়েছে। এটা আমার জন্য খুব ধ্বংসাত্মক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক বিবৃতিতে বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রে খ্রিস্টানদের ওপর আরেকটি উদ্দেশ্যমূলক হামলা বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সহিংসতার এই মহামারি অবশ্যই এখনই বন্ধ করতে হবে।
ঘটনার তদন্তে এফবিআই নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং এটিকে ‘টার্গেটেড ভায়োলেন্স’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এই মিশিগান হামলাটি ২০২৫ সালের ৩২৪তম গণহত্যার ঘটনা বলে জানিয়েছে গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এটি ছিল তৃতীয় গণহত্যা। এর আগে নর্থ ক্যারোলাইনার সাউথপোর্টে এক সাবেক মেরিন বন্দুকধারী বারে হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করে। আর টেক্সাসের ঈগল পাস শহরে একটি ক্যাসিনোতে গুলি চালিয়ে অন্তত দু’জন নিহত হন।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com