চুলকানি মানেই অ্যালার্জি নয়
প্রকাশ : ১৪-০৮-২০২৫ ১১:৪৬

ছবি : সংগৃহীত
পিপলসনিউজ ডেস্ক
ত্বকে চুলকানি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আশপাশে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে অনেক সময় চুলকানির তীব্রতা এতটাই বেড়ে যায় যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায়। শরীর চুলকানো মানেই অ্যালার্জি। যদিও অ্যালার্জি হলে চুলকানি হতে পারে, কিন্তু চুলকানি মানেই অ্যালার্জি- এই ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়।
এমন কিছু চর্মরোগ আছে যার কারণে সারা শরীরেই তীব্র চুলকানি হতে পারে। স্ক্যাবিস (Scabies) সেসব রোগের মধ্যে অন্যতম, এবং সম্প্রতি এটি বেশ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
স্ক্যাবিস কী?
স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে চর্মরোগ, যা খুব ছোট একটি পরজীবী সারকোপটিস স্ক্যাবি (Sarcoptes scabiei) দ্বারা ছড়ায়। এই পরজীবী খালি চোখে দেখা যায় না। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে বা তাঁর ব্যবহৃত পোশাক, তোয়ালে, বিছানার চাদর ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
যেভাবে চিনবেন স্ক্যাবিস?
স্ক্যাবিসের রোগীদের তীব্র চুলকানি হয়, বিশেষ করে রাতে এই উপসর্গ বেড়ে যায়। চুলকানির কারণে অনেকে ঘুমাতেও পারেন না। ত্বকে ছোট ছোট লাল দানা বা ফুসকুড়ির মতো হতে পারে। চুলকানি ও দানাগুলো শরীরের কিছু বিশেষ অংশে, যেমন আঙুলের ফাঁক, কনুই, কোমর, নাভির পাশে, কুঁচকিতে, যৌনাঙ্গে, নারীদের স্তনের নিচে বেশি হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মাথা ও মুখেও হতে পারে। শিশু ছাড়া যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল, তারা স্ক্যাবিসে বেশি আক্রান্ত হন।
স্ক্যাবিসের চিকিৎসা কী?
স্ক্যাবিসের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ আছে, যা প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এসব ওষুধ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে সেরে ওঠা সম্ভব। পরিবারের অন্য কেউ যদি স্ক্যাবিসে আক্রান্ত হন, তাকেও চিকিৎসা দিতে হবে। এ ছাড়া শরীর যাতে কম চুলকায়, তার জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্ক্যাবিসের কিছু ধরন বেশ অপ্রতিরোধ্য হয়, সে ক্ষেত্রে আলাদা কিছু ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। প্রতিরোধ স্ক্যাবিস চিকিৎসার পাশাপাশি প্রতিরোধের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা জরুরি। যে পরজীবীর মাধ্যমে এটি ছড়ায়, সেটি কাপড়চোপড়, বিছানার চাদর, বালিশ ও ব্যবহার্য জিনিসপত্রে থেকে যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে সেটি আবার সংক্রমিত করতে পারে। সে কারণে এসব জিনিস গরম পানি ও জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। কাপড় কড়া রোদে শুকাতে হবে অথবা ইস্ত্রি করে নিতে হবে।
স্ক্যাবিস অবহেলা করার মতো রোগ নয়। অনেকেই রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে বা চিকিৎসককে না দেখিয়ে নিজে নিজে কিছু ক্রিম ব্যবহার করে এ রোগকে আরও জটিল করে ফেলেন। তাই চুলকানি, ফুসকুড়ি যা–ই হোক, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com