বাগরাম বিমানঘাঁটি ফিরিয়ে না দিলে দেখবেন কী করি: ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রকাশ : ২১-০৯-২০২৫ ১১:৪৭

ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাগরাম বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে না দিলে দেশটির জন্য খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিনি এ হুমকি দেন। আবার সেনা পাঠিয়ে দেশটিকে পুনর্দখলে নেওয়ার সম্ভাবনাও উঠিয়ে দেননি ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লেখেন, বাগরাম বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে না দিলে আফগানিস্তানে খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার (নাইন-ইলেভেন) পর থেকে মার্কিন বাহিনী এ বিমানঘাঁটি ব্যবহার করত। এটির নিয়ন্ত্রণ ফেরত পেতে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরদিন শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ নিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে কথা হচ্ছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় তালেবান যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কাবুল সরকারকে উৎখাত করে এবং মার্কিন ঘাঁটিগুলো দখলে নেয়।
এদিকে আফগান কর্মকর্তারা তাদের দেশে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতির বিরোধিতা করছেন।
বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখল করলে তা কার্যত আফগানিস্তানে আবার আক্রমণ করার শামিল হবে। এ জন্য ১০ হাজারের বেশি সেনা ও আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজন হতে পারে।
অতীতে পানামা খাল থেকে শুরু করে গ্রিনল্যান্ড পর্যন্ত নানা অঞ্চল দখলের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়েও তিনি কয়েক বছর ধরে আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন।
শনিবার সাংবাদিকেরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, তিনি ওই বিমানঘাঁটি পুনরুদ্ধারে আফগানিস্তানে সেনা পাঠাবেন কিনা? ট্রাম্প সরাসরি এ প্রশ্নের উত্তর দেননি। তিনি বলেন, এ নিয়ে আমরা কথা বলব না।
ট্রাম্প আরো বলেন, আমরা এখন আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা এটি ফেরত চাই, শিগগিরই চাই। তারা যদি ফেরত না দেয়, তবে আপনারা দেখবেন, আমি কী করি।
নাইন-ইলেভেন হামলার পর আফগানিস্তানে দুই দশক ধরে চলা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিমানঘাঁটি ছিল বাগরাম। একসময় এখানে বার্গার কিং, পিৎজা হাটের মতো ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক পণ্য ও আফগান গালিচা বিক্রির দোকান পর্যন্ত ছিল। বিশাল এক কারাগারও ছিল এই ঘাঁটিতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘাঁটিটি পুনর্দখল করা হলেও সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুল জনবল প্রয়োজন হবে। এমনকি তালেবান সরকার আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘাঁটির পুনর্দখল করাকে মেনে নিলেও আফগানিস্তানের ভেতরে ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়দার হামলা থেকে এটি রক্ষা করা কঠিন হবে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com