মালিবাগে ফরচুন মার্কেটে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪, সোনা উদ্ধার
প্রকাশ : ১৭-১০-২০২৫ ১২:৩৪

ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মালিবাগের ফরচুন শপিং মলের শম্পা জুয়েলার্সের ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তাদের ঢাকাসহ দেশের একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি সূত্র জানায়, সোনা চুরির ঘটনায় সরাসরি তিনজন অংশ নেন। তাদের মধ্যে দুজন রশি বেয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকেন। অপরজন ভবনের নিচে মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করেন। চুরি শেষে তিনজনই পালিয়ে যান। পরে চুরি করা স্বর্ণালংকার চোরচক্রের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। এ চক্রের এক সদস্যের বাড়ির খড়ের গাদা থেকে ১৫০ ভরির বেশি স্বার্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যদের কাছ থেকেও সোনা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, প্রশিক্ষিত দুর্ধর্ষ চোরচক্রের দুজন বোরকা পরে রশি বেয়ে ফরচুন শপিং মলের তৃতীয় তলার জানালার গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এরপর দোতলায় শম্পা জুয়েলার্সের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শোকেসে রাখা স্বর্ণালংকার নেন। চুরি শেষে ভবনের নিচে মোটরসাইকেলে অপেক্ষমাণ ব্যক্তির সঙ্গে তারা দ্রুত চলে যান।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ফরচুন শপিং মলে স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনায় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এ বিষয়ে আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে শম্পা জুয়েলার্সের মালিক অচিন্ত্য কুমার বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, প্রতিদিনের মতো ৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি ও তার কর্মচারীরা বাসায় যান। পরদিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মার্কেটের দারোয়ানের মাধ্যমে খবর পেয়ে এসে দেখেন দোকানে কোনো স্বর্ণালংকার নেই। তার দাবি, দোকানে ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল, এর মধ্যে ৪০০ ভরি দোকানের নিজস্ব স্বর্ণালংকার। আর ১০০ ভরি বন্ধকী স্বর্ণালংকার।
বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি ভরি সোনার দাম দুই লাখ টাকার বেশি। এই হিসাবে চুরি হওয়া সোনার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। এ ঘটনায় শম্পা জুয়েলার্সের মালিক অচিন্ত্য কুমার বিশ্বাস অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে রমনা মডেল থানায় একটি চুরির মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘৮ অক্টোবর রাত ৯টার পর থেকে ৯ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৬টার মধ্যে চুরির ঘটনা ঘটে।’
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, চোরচক্রটি স্বর্ণালংকার কয়েক ভাগে ভাগ করে নেয়। কিন্তু ডিবির তৎপরতায় সেগুলো বিক্রি করার সুযোগ পায়নি। অভিযান পরিচালনাকালে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক চোরের বাড়ির উঠানের পাশের বড় খড়ের গাদা সরিয়ে মাটির নিচ থেকে একটি লাল রঙের শপিং ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছোট ছোট পুঁটলিতে স্বর্ণালংকার মোড়ানো ছিল। এক স্থান থেকেই চুরি হওয়া বড় অংশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া আরো কয়কটি স্থান থেকেও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। তবে মোট কত ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com