রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ
প্রকাশ : ১২-০৫-২০২৫ ১৭:৫২

ফাইল ছবি
সিনিয়র রিপোর্টার
দল বা সংগঠনের (সত্তার) কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ সংশোধন করেছে সরকার। রবিবার (১১ মে) ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর গেজেট প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
পিপলসনিউজ/এসসি
এখন থেকে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে আর কোনও বাধা থাকলো না। দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচারণার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে এই আইনের সংশোধনীতে। এর আগে এই দিন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে এমন ব্যক্তি বা সত্তার এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসিবিরোধী আইনে দল নিষিদ্ধের সুযোগ থাকলেও দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান ছিল না। শনিবার (১০ মে) রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে ১৯৯৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ ধারার সংশোধন : ২০০৯ সালের ১৬নং আইনের ধারা ১৮ সংশোধন করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ১৬নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর ধারা ১৮-এর উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত ‘সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে’ শব্দগুলোর পর ‘বা সত্তার যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে’ শব্দগুলো সংযোজিত হইবে।
আইনের ধারা ২০-এর সংশোধন : উক্ত আইনের ধারা ২০-এর (ক) উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত ‘যদি কোনও ব্যক্তিকে ধারা ১৮-এর বিধান অনুসারে তালিকাভুক্ত করা হয় বা কোনও সত্তাকে নিষিদ্ধ করা হয়’ শব্দগুলো ও সংখ্যার পরিবর্তে ‘যদি কোনও ব্যক্তি বা সত্তার বিরুদ্ধে ধারা ১৮-এর উপ-ধারা (১)-এ বর্ণিত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়’ শব্দগুলো, সংখ্যাগুলো ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে।
(খ) উপ-ধারা (১)-এর (অ) দফা (গ)-তে উল্লিখিত ‘নিষিদ্ধ’ শব্দের পরিবর্তে ‘উক্ত’ শব্দ প্রতিস্থাপিত হইবে; এবং (আ) দফা (ঙ)-এর পরিবর্তে নিম্নরূপ দফা (ঙ) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:- (ঙ) উক্ত সত্তা বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যেকোনও প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য যেকোনও মাধ্যমে যেকোনও ধরনের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।
(গ) উপ-ধারা (২)-এ উল্লিখিত ‘নিষিদ্ধ’ শব্দের পরিবর্তে ‘উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত’ শব্দগুলো, সংখ্যা ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে এবং (ঘ) উপ-ধারা (৩)-এ উল্লিখিত ‘তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সংগঠনের’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘ধারা ১৮-এর উপ-ধারা (১)-এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইয়াছে এরূপ কোনও ব্যক্তি বা সত্তার’ শব্দগুলো, সংখ্যাগুলো ও বন্ধনী প্রতিস্থাপিত হইবে।
পিপলসনিউজ/এসসি
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com