শাহবাগে ‘জুলাই যোদ্ধা’দের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, পুলিশের লাঠিচার্জ
প্রকাশ : ০১-০৮-২০২৫ ২৩:২৫

ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর শাহবাগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দাবিতে চলমান অবরোধে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজেদের ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধা’ দাবি করে একদল ব্যক্তি অবরোধকারীদের সরাতে গেলে এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধা (আহত)’ ব্যানারে শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়। তারা নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ বলে পরিচয় দেন। টানা ৩২ ঘণ্টা অবরোধের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আরেকটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে দাবি করে, তারাই ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধা’।
তারা জনগণের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে ব্যারিকেড সরিয়ে দিতে উদ্যোগী হন এবং একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শাহবাগ মোড় থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়। এতে ঢাকার ব্যস্ততম এই মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সারা দিনের পর রাতেও সেখানে অবস্থান নিয়ে অবরোধ চালিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার সকালে বৃষ্টির মধ্যেও একদল আন্দোলনকারীকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখতে দেখা যায়।
অবশ্য সকালে আন্দোলনকারীরা কম থাকায় ফার্মগেট–বাংলামোটর হয়ে যাওয়া গাড়িগুলো শাহবাগ মোড় দিয়ে মৎস্য ভবনের দিকে যেতে পারছিল। আবার কাঁটাবন থেকে আসা গাড়িগুলো বাংলামোটরমুখী সড়কে আসতে পারলেও মৎস্য ভবনের দিকে যেতে পারছিল না। শাহবাগ মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কাঁটাবন অভিমুখী সড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিল।
শাহবাগে এই অবরোধ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ নামের একটি সংগঠন। এই সংগঠনের আহ্বায়ক আরমান শাফিন দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বহিরাগতরা অতর্কিত হামলা করেছে। হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশও ছিল। পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করেছে। এতে তাদের অন্তত আট জন আহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রশ্নের জবাবে আরমান শাফিন বলেন, হামলাকারী বহিরাগত কারা সেটি তারা জানেন না। তারা আলোচনা করে এই হামলার প্রতিবাদে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একটি গ্রুপ নিজেদের জুলাই যোদ্ধা দাবি করে শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। তাদের কারণে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় জুলাই যোদ্ধা দাবি করে আরেকটি গ্রুপ শাহবাগ মোড়ে আসে এবং দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। পরে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুই গ্রুপকে সরিয়ে দেয়। এখন রাস্তা সম্পূর্ণ সচল আছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শাহবাগ মোড়ে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়েছে।
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com