weather ২৬.৯৯ o সে. আদ্রতা ৯৪% , শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরির লাসলো ক্রাসনাহোরকাই

প্রকাশ : ০৯-১০-২০২৫ ১৮:৪৭

ছবি : সংগৃহীত

পিপলসনিউজ ডেস্ক
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন হাঙ্গেরির ঔপন্যাসিক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১২২তম লেখক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। তারা বলেছে, তার মনোমুগ্ধকর এবং দূরদর্শী লেখা যা প্রলয়াতঙ্কের মাঝেও শিল্পের শক্তিকেই প্রতিবিম্বিত করে।

পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার পাবেন ক্রাসনাহোরকাই। গত বছর এ সম্মাননা পেয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক, কবি হান কাং। বরাবরের মতোই চিকিৎসা বিভাগের পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে  গত সোমবার চলতি বছরের নোবেল মৌসুম শুরু হয়। গত মঙ্গলবার পদার্থবিদ্যার এবং বুধবার রসায়নের নোবেল ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) শান্তি এবং আগামী ১৩ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নোবেল পুরস্কার।

লাসলো ক্রাসনাহোরকাই ১৯৫৪ সালে রোমানিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব হাঙ্গেরির ছোট শহর জিউলাতে জন্মগ্রহণ করেন। জিউলার মতোই একটি প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল হলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের প্রথম উপন্যাস সাতানটাঙ্গোর (১৯৮৫ সালে প্রথম প্রকাশিত) প্রেক্ষাপট। এই উপন্যাসে উঠে এসেছে হাঙ্গেরির একটি গ্রামীণ পরিত্যক্ত সমবায় খামারে বাস করা দরিদ্র কিছু মানুষের কথা। সমাজতন্ত্রের পতনের ঠিক আগমুহূর্তে যারা অনিশ্চয়তা ও নিরাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

সাতানটাঙ্গো হাঙ্গেরির সাহিত্য জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের ব্রেকথ্রু উপন্যাস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এই বইটি। তার দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য মেলানকোলি অব রেজিসট্যান্স (১৯৮৯ সালে প্রকাশিত, ইংরেজি অনুবাদ ১৯৯৮) পড়ে আমেরিকান সমালোচক সুসান সোনট্যাগ তাকে বলেছিলেন সমসাময়িক সাহিত্যের ‘অ্যাপোক্যালিপসের মাস্টার’।

দ্য মেলানকোলি অব রেজিসট্যান্স-এ ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্নের চিত্র আঁকা হয়েছে। পাহাড়ে অবস্থিত একটি ছোট শহর কার্পাথিয়ানে প্রবেশ করে একটি প্রেতাত্মাসদৃশ সার্কাসদল, যার মূল আকর্ষণ একটি বিশাল তিমির মৃতদেহ। এই উদ্ভট এবং আশঙ্কাজনক ঘটনা শহরের ভেতর নানারকম ধ্বংসাত্মক শক্তিকে উসকে দেয়। সহিংসতা, অরাজকতা এবং সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা শহরটিকে নিয়ে যায় স্বৈরাচারী অভ্যুত্থানের দ্বারপ্রান্তে। লেখক চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন শৃঙ্খলা ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে নৃশংস দ্বন্দ্ব, যা থেকে কেউই মুক্ত নয়।

তৃতীয় উপন্যাসে এসে লেখক বেছে নেন হাঙ্গেরির সীমানার বাইরের প্রেক্ষাপট। ওয়ার অ্যান্ড ওয়ার (১৯৯৯ সালে প্রকাশিত, ইংরেজি অনুবাদ ২০০৬) নামের উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন সাধারণ আর্কাইভ কর্মচারী। যিনি জীবনের অন্তিম মুহূর্তে নিউইয়র্কে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নেন। 

এই উপন্যাসের ধারাবাহিকতায় জন্ম নিয়েছে লেখকের উপন্যাস ‘ব্যারন ভেঙ্কহেইম’স হোমকামিং’ (২০১৬ সালে প্রকাশিত, ইংরেজি অনুবাদ ২০১৯)। উপন্যাসটির চরিত্রটি তার মাতৃভূমিতে (হাঙ্গেরি) ফিরছে। জুয়ার আসক্তিতে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া এক জমিদার বহু বছর আর্জেন্টিনায় কাটিয়ে হাঙ্গেরিতে ফিরে আসছে শৈশবের প্রেমকে খুঁজতে। তবে তার সফরসঙ্গী ‘দান্তে’ একটি ছলনাময় চরিত্র। দান্তে তাকে বিপথে নিয়ে যায়।  

এই লেখকের সাম্প্রতিকতম বই হেরস্ট ০৭৭৬৯ (২০২১ সালে প্রকাশিত, ইংরেজি অনুবাদ ২০২৪)-এর দৃশ্যপট পূর্ব জার্মানির থুরিঙ্গিয়ার একটি ছোট শহর। সমসাময়িক বাস্তবতা ও সামাজিক অস্থিরতায় পরিপূর্ণ এই শহরটি। গল্পের আবহে আছে সঙ্গীতজ্ঞ বাখ-এর সঙ্গীত ও ঐতিহ্যের ছায়া। এই উপন্যাসে প্রধান চরিত্র উপন্যাসে বুঝতে পারেন, তিনিও সেই ধ্বংসাত্মক শক্তিরই অংশ হয়ে গেছেন, যাদেরকে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন।  

লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের লেখায় কাফকা এবং টমাস বার্নহার্ডের প্রভাব দেখা যায়। লাসলো ক্রাসনাহোরকাই মধ্য ইউরোপীয় ঐতিহ্যের একজন মহাকাব্যিক লেখক। লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের লেখার ধরণ অদ্ভুত। তাকে নোবেল কমিটি বলেছেন ‘চিন্তাশীল, সূক্ষ্মভাবে পরিমিত স্বর গ্রহণকারী’।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরির লাসলো ক্রাসনাহোরকাই সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরির লাসলো ক্রাসনাহোরকাই সেফ এক্সিট নিয়ে ভাবাটা হবে ‘দুঃখজনক’; উপদেষ্টা ফাওজুল কবিরের পোস্ট সেফ এক্সিট নিয়ে ভাবাটা হবে ‘দুঃখজনক’; উপদেষ্টা ফাওজুল কবিরের পোস্ট গ্রামের এক কিশোর এখন আন্তর্জাতিক গ্যাং লিডার গ্রামের এক কিশোর এখন আন্তর্জাতিক গ্যাং লিডার মালিবাগে বোরকা পরে এসে দোকানের তালা ভেঙে ৫০০ ভরি সোনা চুরি মালিবাগে বোরকা পরে এসে দোকানের তালা ভেঙে ৫০০ ভরি সোনা চুরি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন, দ্রুত সুপারিশ করবে ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন, দ্রুত সুপারিশ করবে ঐকমত্য কমিশন