কুমিল্লায় চার মাজারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই
প্রকাশ : ২২-০৯-২০২৫ ১১:৩১

ছবি : সংগৃহীত
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আসাদপুর বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন আসাদপুর-নয়াপাড়া গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে ইব্রাহীম খলিল (২৪) ও আসাদপুর গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে শহীদ উল্লাহ (৩৩)। আসাদপুরে ওই দুজনের দোকান আছে।
হোমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীর হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে রবিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক একটি পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে পৃথক চারটি মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই দিন রাতে হোমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হলেও তাদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
যে চারটি মাজারে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলো হলো আসাদপুর গ্রামের আলেক শাহের বাড়িতে অবস্থিত তার বাবা কফিল উদ্দিন শাহের মাজার, একই গ্রামের আবদু শাহের মাজার, কালাই (কানু) শাহের মাজার ও হাওয়ালি শাহের মাজার। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হোমনা থানার এসআই তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কফিল উদ্দিনের ছেলে আলেক শাহের নাতি মহসিনের বিরুদ্ধে গত বুধবার সকালে ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মহসিনকে গ্রেপ্তার করে গত বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরপর ওই দিন সকালে প্রথমে মহসিনের বাড়িতে হামলা করে কফিল উদ্দিন শাহের মাজার ভাঙচুর করা হয়। এ সময় একটি টিনশেড ও দুটি টিনের বসতঘরে ভাঙচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে অন্য তিনটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com