নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপরে তিস্তার পানি
প্রকাশ : ১৩-০৮-২০২৫ ১১:৫০

ছবি : সংগৃহীত
রংপুর ব্যুরো
কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
যদিও সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার; যা বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার উপরে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম বলেন, উজানের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলো ইতোমধ্যেই তলিয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে। বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। সতর্কাবস্থায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নীলফামারীর ডিমলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী ও জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাসহ ভাটি এলাকা রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা এবং লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রামের নদীপারের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
তিস্তার পানি বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলাতেও। নদীবেষ্টিত চর ও চরের গ্রামগুলোতে হাঁটুসমান পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকে গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে উঁচু স্থানে সরে যাচ্ছেন।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, সবচেয়ে বড় চর গ্রাম ঝাড়সিংশ্বরসহ কয়েকটি চর এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহ হচ্ছে।
ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, বুধবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। সকাল ৬টায় বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার উপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com