weather ৩১.৯৯ o সে. আদ্রতা ৭০% , সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাহাড়ি ঢল থামেনি, সিলেটে নদ-নদীর পানি বাড়ছে

প্রকাশ : ০৩-০৬-২০২৫ ১২:৫৩

ছবি : সংগৃহীত

সিলেট ব্যুরো
সিলেটে টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের পর কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ দশমিক ছয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর।

যদিও স্থানীয়ভাবে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কমেছে, তবে ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যের পাহাড়ি এলাকা থেকে আসা ঢল এখনো অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক স্থানে তা বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ মিটার; যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৯৪ মিটার উপরে। কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে পানি ছিল ১৭ দশমিক ৩৬ মিটার; যা বিপৎসীমার এক দশমিক ৯৬ মিটার উপরে। শেওলা পয়েন্টে পানি ছিল ১৩ দশমিক ৫২ মিটার; যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪৭ মিটার উপরে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ছিল নয় দশমিক ৯৮ মিটার; যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫৩ মিটার উপরে। এসব পয়েন্টে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার পানি আরো বেড়েছে।

এদিকে সুরমা ও কুশিয়ারা ছাড়াও জেলার ধলাই, লোভা, সারি ও ডাউকি নদ-নদীর পানির স্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কেবল সারি-গোয়াইন নদীর পানি সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

অন্যদিকে নতুন করে বড় কোনো এলাকা প্লাবিত না হলেও সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম ও রাস্তা এখনো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও ওসমানীনগর উপজেলায় নদ-নদীর পানি বাড়ছেই। বিশেষ করে জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর একাধিক স্থানে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ায় বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং তাদের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। একই সঙ্গে বহু গ্রামীণ সড়ক ডুবে গেছে, যা স্থানীয়দের চলাচলে চরম দুর্ভোগ তৈরি করেছে।

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ঠিক কতগুলো গ্রাম বা কতজন মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন; তা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, যেখানে দুটি পরিবারের মোট নয় জন আশ্রয় নিয়েছেন। ইউএনও বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানিয়েছেন, স্থানীয় বৃষ্টিপাত কমলেও ভারত থেকে সীমান্তবর্তী নদ-নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল প্রবাহিত হওয়ায় নদীর পানি বাড়ছে। তবে আশার কথা হলো, ভারতেও বৃষ্টি কমে এসেছে এবং ভাটির দিকে পানি দ্রুত সরে যাচ্ছে। এই কারণে নতুন করে বৃষ্টি না হলে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। 

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

ঈদযাত্রার ১৫ দিনে ৩৭৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯০ জন ঈদযাত্রার ১৫ দিনে ৩৭৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯০ জন করোনা পরীক্ষায় পুরোপুরি প্রস্তুত নয় সরকারি হাসপাতালগুলো করোনা পরীক্ষায় পুরোপুরি প্রস্তুত নয় সরকারি হাসপাতালগুলো হবিগঞ্জে বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ: চালক আটক, হেলপার পলাতক হবিগঞ্জে বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ: চালক আটক, হেলপার পলাতক কক্সবাজারে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩, আহত ১০ কক্সবাজারে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩, আহত ১০ পরিবারসহ বাঙ্কারে লুকিয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি পরিবারসহ বাঙ্কারে লুকিয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি