পুরান ঢাকায় গলায় তার প্যাঁচানো কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশ : ২৬-১০-২০২৫ ১০:৪৪
ছবি : সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় গলায় জিআই তার প্যাঁচানো অবস্থায় সজীব (১৯) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে বংশালের আগামাসি লেনের একটি চারতলা ভবনের সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত সজীব স্থানীয় আহমেদ বাউনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক জানান, স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মরদেহটির পরিচয় না জানা গেলেও পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তা শনাক্ত করা হয়।
তিনি আরো জানান, চারতলার সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা মরদেহের গলায় জিআই তার প্যাঁচানো ছিল। যে ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে সেখানে একটি পরিবার বসবাস করতো, তবে বর্তমানে ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক ধারণা, সজীবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
তবে নিহত সজীবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, সজীবের বাড়ি বংশালের আগামাসি লেনেই। এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর কিছুদিন আগে সে তাবলিগ জামাতে দোহারে গিয়েছিল এবং শুক্রবার বাসায় ফিরে আসে। শনিবার বিকাল ৩টার দিকে এক ফোনকল পেয়ে সে বাসা থেকে বের হয়। পরে বিকালেই পরিবারের কাছে খবর আসে, কাছের একটি বাসার সিঁড়িতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।
ইসলাম আরো বলেন, যে বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি ছিল সজীবের প্রেমিকার পরিবারের বাসা। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের কেউই এলাকায় নেই। প্রায় ছয় বছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে সজীবের সম্পর্ক ছিল। মাঝখানে একবার মনোমালিন্য হলেও পরে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। তবে মেয়েটির মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিল না। তারাই পরিকল্পিতভাবে সজীবকে হত্যা করেছে।
মাত্র ছয় দিন আগে গত ১৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার আরেকটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com