মাদ্রাসা শিক্ষককে হত্যা, গণপিটুনিতে হামলাকারী নিহত
প্রকাশ : ২১-০৭-২০২৫ ১১:১৫

ছবি : সংগৃহীত
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় গাজী শরিফুল ইসলাম (৩৮) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (২০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
হত্যার সময় উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে হামলাকারী রাজু গাজীকে (৩৬) তাৎক্ষণিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
শরিফুল ইসলাম তালা উপজেলার শাহাপুর মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। তিনি উপজেলার হরিহর গ্রামের প্রয়াত মাওলানা আলিমুদ্দিন গাজীর ছেলে। হামলাকারী রাজু গাজী একই গ্রামের গোলাম মোস্তফা ওরফে খোকন গাজীর ছেলে।
খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম লিয়াকত হোসেন জানান, রাজু কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি রবিবার বিকালে শরিফুল ইসলামকে ডেকে মাদ্রাসার সামনে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাজু তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে শরিফুলকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকেন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, শরিফুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রাজুকে আটক করে। মুহূর্তেই উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। একপর্যায়ে তিনিও ঘটনাস্থলেই মারা যান।
শাহাপুর দাওয়াতুল কুরানুল হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল গফফার জানান, রাজু আগে থেকে মাদকাসক্ত। রবিবার বিকালের দিকে মাদ্রাসা এলাকায় এসে তিনি মাদ্রাসার ছাত্রদের উত্যক্ত করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে ছাত্ররা মাদ্রাসার শিক্ষক শরিফুল ইসলামের কাছে নালিশ জানায়। এ সময় শরিফুল ইসলাম রাজুকে ছাত্রদের উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করলে রাজু তার ওপর নাখোশ হয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটান।
রাজুর ভগ্নিপতি দিদারুল আলম জানান, তার শ্যালক মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি একজনকে হত্যার পর নিজেও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে তারা মামলা করবেন না।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনউদ্দিন জানান, দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পেছনের কারণ জানতে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ও শোক বিরাজ করছে। শিক্ষক হত্যার ঘটনায় সহকর্মী, শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী সবাই মর্মাহত।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com