যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
প্রকাশ : ০২-১০-২০২৫ ১০:৪৯

ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সৌজন্যে
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিয়ে নয় দিনের সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় তাকে বহনকারী এমিরেটসের ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে জানানো হয়।
সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা।
এ বছর প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছয় রাজনীতিক ছিলেন। তাদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা ঢাকা থেকে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেন। এছাড়া জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি দলে যুক্ত হন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সাধারণ আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং রোহিঙ্গা সংকটের বিষয় তুলে ধরেন।
এরপর মঙ্গলকার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য দেন মুহাম্মদ ইউনূস। রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র শান্তিপূর্ণ সমাধান যে তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন, সে কথা আবারও মনে করিয়ে দিয়ে সাত দফা প্রস্তাব রাখেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ফাঁকে নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, বেলজিয়ামের রানি ম্যাথিল্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিশ্বনেতাদের সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়।
এ ছাড়া আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বাজরাম বেগাজ, কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভিওসা ওসমানি, বতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট ডুমা গিডিওন বোকো, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব্বে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে বৈঠক হয় মুহাম্মদ ইউনূসের।
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গা, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক এনগোজি অকোনজো-ইওয়েলা, প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিদালগো, ক্লাব ডি মাদ্রিদের সভাপতি ও স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দানিলো তুর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত এবং ভারতের জন্য মনোনীত রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অধিবেশন চলাকালে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত থেয়ারওয়ার্ল্ডের বার্ষিক উচ্চপর্যায়ের গ্লোবাল এডুকেশন ডিনারে মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া হয় ‘আনলক বিগ চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com