রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার, ঋণের কথা বলা চিরকুট উদ্ধার
প্রকাশ : ১৫-০৮-২০২৫ ১২:১৬

ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীর পবা উপজেলার বামুনশিকড় এলাকায় একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মতিহার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক কালাম পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার বাসিন্দা মিনারুল ইসলাম (৩৫), স্ত্রী মনিরা বেগম (২৮) এবং তাদের ছেলে মাহিন (১৩) ও মিথিলা (২)। মাহিন খড়খড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যাতে ঋণের কথা বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে চিরকুটটি মিনারুলের লেখা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনারুল ইসলাম কৃষিকাজ করেন। তার কাছে অনেকেই টাকা পাবেন। তাদের বসতবাড়ির উত্তরের ঘরে মনিরা বেগম ও তার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে। আর দক্ষিণের ঘরে মিনারুল ইসলাম ও তার ছেলে মাহিমের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, পরিবারে চারজন সদস্যই মারা গেছেন।
উদ্ধার করা চিরকুটে লেখা, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের গায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো। কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) গাজিউর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে। মরদেহের পাশে হাতে লেখা একটা চিঠি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটা মিনারুলের লেখা। এতে ঋণের কথা বলা হয়েছে। তবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে এটা কার লেখা।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com