অস্ত্রোপচার বিতর্কে কী বললেন জাহ্নবী কাপুর
প্রকাশ : ২৫-১০-২০২৫ ১৫:৫০
ছবি : সংগৃহীত
বিনোদন ডেস্ক
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় অনেকে বিস্মিত। যেখানে দেখানো হয়েছে স্বঘোষিত ডাক্তাররা বলিউড অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরের মুখ কেটে ‘বাফেলো প্লাস্টি’ করেছেন। আর তা দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগে উঠেছে, সত্যিই জাহ্নবী তার শারীরিক গঠন ঠিক রাখার জন্য অস্ত্রোপচার করেছেন? এই প্রশ্ন শুধু সামাজিক মাধ্যমের অনুসারীদের নয়; বরং বলিউড বাসিন্দাদেরও।
এখানে শেষ নয়, অনলাইনভিত্তিক আয়োজন ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’-এ জাহ্নবীকে প্রশ্ন করা হয়েছে। অগ্রজ দুই অভিনেত্রী কাজল ও টুইঙ্কেল খান্নার প্রশ্নে সোজাসাপটা জবাব দিতেও দ্বিধা করেননি জাহ্নবী।
অভিনেত্রী বলেছেন, ‘প্রতিটি কাজ আমি অনেক চিন্তাভাবনা করে করি। পরিমিতিবোধ বজায় রাখার চেষ্টা থাকে সবসময়। আমার মা শ্রীদেবী আজ পৃথিবীতে নেই, তবু তার দেখানো পথ অনুসরণ করেই পথ চলছি। বলতে পারেন এখন আমি মায়ের দ্বারাই পরিচালিত। তাই যে ভিডিও দেখে অনেকে ভাবছেন, শারীরিক গঠন ঠিক রাখার জন্য আমি অস্ত্রোপচার করেছি, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। যদি কোনো অল্পবয়সী মেয়ে এ ধরনের ভিডিও দেখে বিশ্বাস করে এবং এমন কিছু করতে চায়, তবে সেটা তার জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলদায়ক হবে না।’
এ কথার পাশাপাশি জাহ্নবী স্বীকার করেছেন, শারীরিক গঠনে পরিবর্তন আনতে তিনি যে কিছুই করেননি, বিষয়টি এমনও নয়। তবে যতটুকু যা করেছি, তা মায়ের নির্দেশনা মেনে এবং সতর্কতার সঙ্গে করেছি।
বলিউডের এই সময়ের আলোচিত এই অভিনেত্রী আরো জানিয়েছেন, বাফেলো প্লাস্টি নিয়ে যেসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, তা কতটুকু সত্যি, এটা স্পষ্ট করে জানতে হবে। বাফেলো প্লাস্টি, যা বুলহর্ন লিপ লিফট নামেও পরিচিত, একটি প্রসাধনী অস্ত্রোপচার পদ্ধতি, যা নাক এবং ওপরের ঠোঁটের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি ওপরের ঠোঁটকে মোটা এবং পূর্ণ দেখায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়, যা নাক এবং ওপরের ঠোঁটের মধ্যবর্তী অংশকে দীর্ঘায়িত করতে পারে এবং ঠোঁটের লাল অংশটি ভেতরের দিকে গড়িয়ে যেতে পারে, যা এটিকে পাতলা দেখায়। অনেকে তাদের যৌবন ফিরে পেতে বা সেলিব্রিটির মতো মোটা ঠোঁট অর্জনের জন্য এই পদ্ধতিটি করেন। তবে সব তারকা যে এই অস্ত্রোপচারে আগ্রহী, এমন নয়।
এ খবরের পাশাপাশি গাল্ফ নিউজ, দ্য সিয়াসত ডেইলিসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে আরো জানা গেছে, এ মুহূর্তে অভিনয়ে ছোট একটা বিরতি নিতে যাচ্ছেন জাহ্নবী কাপুর। শুধু রাম চরণের ‘পেদ্দি’র শুটিংয়ের কাজ শেষ করার দিকে মনোনিবেশ করবেন। অবাক করা বিষয় হলো– সাম্প্রতিক সময়ে জাহ্নবী অভিনীত ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’, ‘সানি সংস্কারী কি তুলসী কুমারী’, ‘উলাজ’ ও ‘পরম সুন্দরী’ সিনেমাগুলি বক্স অফিসে তেমন কোনো সাফল্য পায়নি। তারপরও অভিনেত্রীর বাজার মূল্য ক্রমশ বাড়ছে।
‘পেদ্দি’র জন্য তাকে ছয় কোটি টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী তেলেগু অভিষেক সিনেমা ‘দেভারা পার্ট ওয়ান’-এর জন্য সাত কোটি টাকা পারিশ্রমিক দাবি করেছেন। এতে স্পষ্ট, শীর্ষ অভিনেত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিতে দারুণ সব কৌশল রপ্ত করে ফেলেছেন বলিউডের প্রথম সুপাস্টার খেতাব পাওয়া অভিনেত্রী শ্রীদেবীর এই সুযোগ্য কন্যা।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com