weather ২৮.৯৯ o সে. আদ্রতা ৭৯% , রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্থলবাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা ভারতের: পণ্যের রপ্তানি জটিল ও বাধাগ্রস্থ হওয়ার শঙ্কা

প্রকাশ : ১৮-০৫-২০২৫ ২৩:৩৭

ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারত সরকার হঠাৎ করে স্থলপথে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে; যা দুই দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের মতো প্রধান রপ্তানি পণ্য এতে সরাসরি প্রভাবিত হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নয়, বরং কৌশলগত ও রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে।

যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও এই নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি বলেন, বাণিজ্যে ভারসাম্য ভারতের দিকেই বেশি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে যেতে চাই। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে বৈঠক হবে।

এদিকে বিধিনিষেধ কার্যকর হতেই বেনাপোল বন্দরে ভারতের উদ্দেশে রওনা হওয়া পণ্যবোঝাই শতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে যেসব পণ্য দিনে দিনে রপ্তানি করা যেত, সেগুলো এখন ১০-১৫ দিনও লাগতে পারে, ফলে সময় ও খরচ উভয়ই বহুগুণ বেড়ে যাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল একটি বাণিজ্যিক পদক্ষেপ নয়, বরং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়নেরই প্রতিফলন। তাদের মত, পোশাক, প্লাস্টিক ও খাদ্যপণ্যের বাজার বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেখানে কার্যত রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। প্রাণ-আরএফএল ও ড্যানিশ ফুডের মতো বড় কোম্পানিগুলো সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বে।

ভারতের ব্যবসায়ীদেরই ক্ষতি হবে-বাণিজ্য উপদেষ্টা: স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদপণ্যসহ অন্তত সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নতুন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাতে ভারতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারতের দিকে পাল্লা ভারী থাকার কথা তুলে ধরে সাংবাদিকদের বলেন, এ বাস্তবতা তুলে ধরে বাংলাদেশ বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে। আমরা নিশ্চয় এই অবস্থানগুলোকে তুলে ধরবো এবং সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবো।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এই পদক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ভৌগলিকভাবে সংযুক্ত দুটি দেশ আমরা। এটি বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার একটি প্রক্রিয়া। উভয়পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে এটির একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত আনতে পারবো। আমাদের আরো কিছু বন্দর এখনো খোলা আছে।

শনিবার স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদপণ্যসহ অন্তত সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত, যা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পণ্য রপ্তানিতে বড় ধরনের জটিলতা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) নিষেধাজ্ঞার আদেশ বলেছে, কোনো স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কোনো ধরনের পোশাক পণ্য ভারতে ঢুকতে পারবে না।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক এখন থেকে কেবল কলকাতা ও মুম্বাইয়ের নভসেবা (জওহরলাল নেহরু) সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে।

ফল, ফলের-স্বাদযুক্ত পানীয় ও কার্বোনেটেড ড্রিংকস; বেকারি, চিপস, স্ল্যাকস এবং কনফেকশনারিতে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাবার; তুলা ও সুতার ঝুট; পিভিসিসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য এবং কাঠের তৈরি আসবাবপত্রও বিধিনিষেধের আওতায় পড়েছে।

আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কোনো ‘ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন’ বা ‘ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট’ (আইসিপি) দিয়ে এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন দিয়ে এসব পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এক মাসের মাথায় ভারতের এই পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এল, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করার কথা বলেছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর যে চড়া শুল্ক আরোপ করেছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারত তার চেয়েও কঠোর পদক্ষেপ নিল।

এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। স্থানীয় স্থলবন্দরে বিশেষ করে আখাউড়া ও ডাউকি সীমান্তভিত্তিক কিছু সিদ্ধান্তের কথা শুনেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। এখন বিষয়টি বিশ্লেষণ করবো।

বাংলাদেশ থেকে যে পারিমাণ পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়; তার চেয়ে বেশি ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আসে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে থেকে ১৬ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৯৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য। পরের বছর ১৭ হাজার কোটি টাকা পণ্যে রপ্তানির বিপরীতে আমদানি ছিল ৯৯ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ৮২ হাজার কোটি টাকা।

স্থলবাণিজ্যে ভারতের এই নতুন বিধিনিষেধের প্রায় এক মাস আগে দেশটি থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

অন্যদিকে গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। এখন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করল প্রতিবেশী দেশটি।

তবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যকে স্বাভাবিক বাণিজ্য প্রবাহ বলে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, তারা যেটি আমাদের থেকে নেয়, সেটি সুলভ মূল্যের কারণেই নেয়। আমরাও একই কারণে তাদের পণ্য কিনি। সুতরাং এখানে স্বাভাবিক বাণিজ্য প্রবাহের বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরবো। আমরা আমাদের বৈচিত্র্যকরণ ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি ঘটাবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি যে আসবাব যায়, তা না। পোশাকপণ্য যায়, আমরা প্রতিযোগিতা সক্ষমতার মাধ্যমেই এগুলো পাঠিয়ে থাকি। দুপক্ষের জন্যই লাভজনক বিধায় এগুলো যায়। আশা করি, উভয় দেশের ভোক্তা ও উৎপাদনের স্বার্থে এটি চলমান থাকবে।

এর আগে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ায় কী ধরনের প্রবাহ পড়েছে, জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা দাবি করেন, ট্রান্সশিপমেন্টের কোনো প্রভাব আমাদের ওপর নেই। নিজস্ব সক্ষমতা ব্যবহার করে নিজস্বভাবেই এই সমস্যা সমাধান করেছি। 

যা বলছেন অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্টরা: গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি নিতান্তই অর্থনৈতিক নয়, বরং এতে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়নের প্রতিফলন ঘটেছে। ফলে এ সংকটের সমাধান রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে।

তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল সামাদ বলেন, ভারতের এ সিদ্ধান্তে উভয় দেশের জন্যই ক্ষতির কারণ হবে। স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পাঠালে আমাদের খরচ ও সময় কম লাগে। সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে পণ্য পাঠালে ব্যয় বাড়বে, আবার সময়ও অনেক বেশি লাগবে। কিন্তু এতে যে শুধু আমাদের ক্ষতি হবে তা নয়, ভারতীয় আমদানিকারকদেরও তো খরচ বাড়বে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ বেশি নয় এটি সত্যি, কিন্তু বাংলাদেশের মোট রপ্তানির অনুপাতে সেটি আবার একেবারে কমও নয়। ফলে ভারতের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে। কারণ আমাদের বাজার ও পণ্য বৈচিত্র্য কম। ভারতে যেসব পণ্য রপ্তানি হয় তার অধিকাংশই উন্নত দেশে রপ্তানি সম্ভব হবে না। আবার সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে পণ্য পাঠাতে খরচ অনেক বেড়ে যাবে রপ্তানিকারকদের। 

ক্ষতি হবে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে: ভারতে খাদ্যপণ্য রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে জানিয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, স্থলপথে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে কার্যত ভারতের সঙ্গে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোর জন্য প্রতিযোগিতামূলক হবে না। খরচের পাশাপাশি সময়ের কারণে আমরা পারবো না। আবার সব জায়গায় নৌপথে পণ্য যাবেও না। বিশেষ করে সবচেয়ে বড় বাজার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সে সুযোগ নেই।

কামরুজ্জামান কামাল বলেন, যেসব বন্দর দিয়ে আমরা রপ্তানি করি সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্থলবন্দর ব্যবহার করে এসব সামগ্রী আমদানিতে যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত, সেটি কার্যকর হলে আমাদের পণ্য রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে, বন্ধ হয়ে যাবে। 

ড্যানিশ ফুডের হেড অব বিজনেস দেবাশীষ সিংহ বলেন, মূলত সেভেন সিস্টার্সের বাজারে ভারতের নিজস্ব পণ্যের চেয়ে বাংলাদেশের পণ্যের আধিক্য বেশি ছিল। কারণ ভারতের মূল ভূখণ্ডের কোম্পানিগুলোর চেয়ে আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো কম খরচে সেখানে পণ্য পৌঁছাতে পারতো। সে সুযোগ বন্ধ করার জন্য এই পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। এ দেশের কোম্পানিগুলোর জন্য বড় দুঃসংবাদ এটি।

দেবাশীষ সিংহ বলেন, ভারতে রপ্তানির জন্য আমরা ছয়টি স্থলবন্দর ব্যবহার করি, এর সবগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ভারত এখন কেবল কলকাতা ও মুম্বাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির সুযোগ দিচ্ছে। এ দুটি বন্দর রপ্তানিকারকদের একদম কাজে আসবে না, ওইসব দিয়ে রপ্তানিও হয় না।

তিনি বলেন, এখন অন্য কোনোভাবে রপ্তানি করার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশি কোম্পানি খরচে পোষাতে পারবে না। কারণ আমরা আগে বর্ডার পার হলেই আসাম, গোহাটি, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামে পণ্য পৌঁছাতে পারতাম স্থলপথে। ওই পথে না গেলে নৌপথে অনেক ঘুরে, বারবার ট্রান্সপোর্ট পরিবর্তন করে খরচে টিকতে পারবো না।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, এ ধরনের অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য জটিলতা তৈরি করবে। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করবে। নিয়ন্ত্রণমূলক তদারকি একটি দেশের সার্বভৌম অধিকার, তবে এ ধরনের হঠাৎ ও বেছে বেছে কিছু বন্দরে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, বিশেষ করে স্থলপথে বাণিজ্যের খরচ বাড়িয়ে দেয় এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করে।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

ড. মইনুলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ অস্ট্রেলিয়ায় তিন বাড়ির সত্যতা পেয়েছে দুদক ড. মইনুলের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ অস্ট্রেলিয়ায় তিন বাড়ির সত্যতা পেয়েছে দুদক শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ে ১৯ প্রাণহানি পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ে ১৯ প্রাণহানি সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আজও বিক্ষোভ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আজও বিক্ষোভ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ যুবক আহত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ যুবক আহত