ইতিহাসে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া একাদশে একসঙ্গে ২ আদিবাসী ক্রিকেটার
প্রকাশ : ২০-১১-২০২৫ ১২:৪৮
ছবি : সংগৃহীত
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার একাদশে একসঙ্গে খেলবেন দুই আদিবাসী ক্রিকেটার। তারা হলেন, স্কট বোল্যান্ড ও ব্রেন্ডান ডগেট।
প্রথমে প্যাট কামিন্স ও পরে জশ হেইজেলউড চোটের কারণে ছিটকে পড়ায় তৈরি হয় প্রেক্ষাপট। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) একাদশ ঘোষণায় নিশ্চিত হয়, পার্থে এবারের অ্যাশেজের প্রথম ম্যাচে টেস্ট ক্যাপ পাচ্ছেন ডগেট। শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া এই ম্যাচের একাদশে বোল্যান্ডের থাকা নিশ্চিত ছিল আগে থেকেই।
বোল্যান্ডের আবির্ভাবের আগে অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র আদিবাসী টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন জেসন গিলেস্পি। অস্ট্রেলিয়ার অনেক সাফল্যের নায়ক এই পেসার ৭১ টেস্টে নিয়েছেন ২৫৯ উইকেট।
তার অবসরের ১৫ বছর পর আরেকজন আদিবাসী টেস্ট ক্রিকেটার পায় অস্ট্রেলিয়া। ২০২১ সালে অ্যাশেজেরই বক্সিং ডে টেস্ট দিয়ে অভিষেক হয় বোল্যান্ডের। দ্বিতীয় ইনিংসে বিধ্বংসী বোলিংয়ে ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরাও হন তিনি। এরপর থেকে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, ভালো করেছেন তিনি বেশিরভাগ সময়ই। কিন্তু কামিন্স, হেইজেলউড ও মিচেল স্টার্ক পেসত্রয়ীর জন্য নিয়মিত খেলার সুযোগ পান না। এখনও পর্যন্ত ১৪ টেস্ট খেলে তার শিকার ৬২ উইকেট।
এবার যোগ হচ্ছেন ডগেট। টেস্ট স্কোয়াডে প্রথমবার জায়গা পেয়েছিলেন তিনি সেই সাত বছর আগে। গত এক বছরে বেশ কয়েকটি টেস্টেই স্কোয়াডে রাখা হয়েছে তাকে। কিন্তু খেলার সুযোগ হয়নি। এবার অভিষেকটা হয়ে যাচ্ছে বড় মঞ্চেই। ৩১ বছর বয়সী পেসার ৫০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ১৯০টি।
অস্ট্রেলিয়ার ৪৭২তম টেস্ট ক্রিকেটার হতে যাচ্ছেন ডগেট। ৪৭৩তম ক্রিকেটারও টেস্ট ক্যাপ পাবেন এই ম্যাচেই। অনুমিতভাবেই সুযোগ পাচ্ছেন জেইক ওয়েদেরল্ড।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবশেষ এক টেস্টে দুজনের অভিষেক হয়েছিল ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। একসঙ্গে ব্যাগি গ্রিন পেয়েছিলেন কার্টিস প্যাটারসন ও জাই রিচার্ডসন। অ্যাশেজে সবশেষ একসঙ্গে দুজন অভিষিক্ত অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন ২০১১ সালে সিডনি টেস্টে, যখন খেলেছিলেন উসমান খাওয়াজা ও মাইকেল বিয়ার।
এবার সেই খাওয়াজার সঙ্গেই ইনিংস শুরু করবেন ওয়েদেরল্ড। ৩১ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ৭৭টি। ১৩ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৫ হাজার ৩২২।
ওয়েদেরল্ড ও ডগেটের অভিষেক অবশ্য গত কিছুদিনের ঘটনাপ্রবাহে অনেকটাই অনুমিত হয়ে উঠেছিল। অস্ট্রেলিয়ার একাদশে মূল কৌতূহল ছিল অলরাউন্ডারের জায়গা নিয়ে, ক্যামেরন গ্রিন নাকি বাউ ওয়েবস্টার। নির্বাচকরা শেষ পর্যন্ত বেছে নিলেন গ্রিনকে।
পিঠের চোট কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরার পর অনেক দিন শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেছেন গ্রিন। দীর্ঘ পুনর্বাসন শেষে সম্প্রতি বোলিংয়ে ফিরেছেন তিনি শেফিল্ড শিল্ডে। তার ওপরই পার্থে ভরসা রাখছে দল
ওয়েবস্টারকে অবশ্য দুর্ভাগা বলাই যায়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সাত টেস্ট খেলে চারটি ফিফটি করেছেন তিনি, ব্যাটিং গড় প্রায় ৩৫। বোলিংয়ে আট উইকেট নিয়েছেন মাত্র ২৩.২৫ গড়ে। শেফিল্ড শিল্ডের সবশেষ ম্যাচেও শিকার করেছেন আট উইকেট। কিন্তু দলীয় সমন্বয়ের কারণে বাইরে যেতে হলো তাকে।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com