বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রকাশ : ১৫-১১-২০২৫ ২১:৪৩
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কয়েকদিনের মধ্যে ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছেন এবং তার ভাষণ সম্পাদনার জন্য করা এ মামলায় তিনি ক্ষতিপূরণ বাবদ সর্বোচ্চ ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত চাইতে পারেন।
‘প্যানোরামা’ তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের দেওয়া ওই ভাষণ ভুলভাবে সম্পাদিত করায় এরই মধ্যে ক্ষমা চেয়েছে বিবিসি, তবে তারা বলেছে- এর জন্য ক্ষতিপূরণের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
২০২১ সালের ওইদিন ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটলে হামলা চালিয়েছিল। বিবিসির সম্পাদিত ভাষণ দেখলে মনে হবে, ট্রাম্পই ওই হামলা উসকে দিয়েছিলেন। আদতে মূল ভাষণে তিনি সেরকম উসকানিমূলক কিছুই বলেননি, রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছিলেন।
৬ জানুয়ারির ওই ভাষণ সম্পাদনাসহ পক্ষপাতজনিত নানা অভিযোগে দুই শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগ ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যমটিকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটেও ফেলেছে, বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা এর আগে বিবিসিকে তার তথ্যচিত্রটি প্রত্যাহারে শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়, নয়তো অন্তত ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ মামলার মুখোমুখি হতে হবে বলে জানায়।
তারা সম্প্রচারমাধ্যমটিকে ক্ষমাও চাইতে বলে এবং তাদের ভাষায় ট্রাম্পের মর্যাদা ও অর্থনৈতিক মারাত্মক ক্ষতির জন্য যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চায়।
ভুলক্রমে ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নেওয়া বিবিসি বৃহস্পতিবার ক্ষমা প্রার্থনা করে ট্রাম্পকে চিঠি পাঠায়। তারা আর তথ্যচিত্রটি পুনঃপ্রচার করবে না বলেও জানায়। তবে তারা এ ‘ভুলের’ জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি নয়।
আমরা তাদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি থেকে শুরু করে ৫০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ মামলা করবো। মামলাটি সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই হবে, শুক্রবার ফ্লোরিডার দিয়ে যাওয়ার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে থাকা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ট্রাম্প।
আমার মনে হয় আমরা এটা (মামলা) করা উচিত। এমনকী তারা নিজেরাই জালিয়াতি করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তারা আমার মুখ থেকে বেরিয়ে আসা কথা বদলে দিয়েছে, বলেছেন তিনি।
এ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এখনো কথা হয়নি বলেও জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, শনি-রবিবার স্টারমারকে ফোন করার পরিকল্পনা আছে। স্টারমার কথা বলতে চেষ্টা করেছেন এবং তিনি এই ঘটনায় খুবই লজ্জিত, বলেছেন ট্রাম্প।
ডান ঘরানার ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল জিবি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট তার ভাষণ যেভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে তাকে অবিশ্বাস্য আখ্যা দিয়ে ঘটনাটিকে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আমি চমৎকার সব কথা বলেছিলাম। তারা এটিকে ভালো নয় এমন কথায় পরিণত করেছে। ভুয়া সংবাদ এভাবে বলাটা ভালো, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এটা ততটা কড়া কথা নয়। এটা (সম্পাদনা) ভুয়ারও বেশি কিছু, এটা দুর্নীতি, অন্যায়, বলেছেন তিনি।
বিবিসির ক্ষমা প্রার্থনা যথেষ্ট নয় বলেও মত মার্কিন এ প্রেসিডেন্টের। যখন আপনি বলেন এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, ধরলাম এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, তাহলে আপনি ক্ষমাও চাইবেন না। তারা ভাষণের দুই অংশকে জোড়া দিয়েছে, এক অংশ থেকে আরেক অংশের দূরত্ব এক ঘণ্টার বেশি।
পিপলসনিউজ/আরইউ
-- বিজ্ঞাপন --
CONTACT
ads@peoplenewsbd.com