weather ২৮.৯৯ o সে. আদ্রতা ৮৪% , সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর ‘রাজা’র ওজন ২০ মণ, দাম ৮ লাখ টাকা

প্রকাশ : ১৭-০৫-২০২৫ ১১:৪৫

ছবি : সংগৃহীত

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ২০ মণ ওজনের শাহীওয়াল জাতের একটি বড় ষাঁড় গরুকে। লাল রঙের এই সুঠামদেহী ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘রাজবাড়ীর রাজা’। ষাঁড়টির মালিক সুবাস শিকদার চার বছর ধরে সন্তানের মতো করে এই পশুটি লালন-পালন করছেন। এই গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে আট লাখ টাকা।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের লক্ষ্মনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ৬১ বছর বয়সী সুবাস শিকদার জানান, রাজাকে তিনি নিজের সন্তানের মতো ভালোবেসে বড় করেছেন। ষাঁড়টি এখন ছয় দাঁতের এবং ওজনে প্রায় ২০ মণ (প্রায় ৮০০ কেজি)। উচ্চতায় ছয় ফুট, লম্বায় প্রায় সাত ফুট এবং বুকের মাপ সাড়ে ছয় ফুট। রাজার মতো দেহবল্লব এই গরু এলাকার মানুষের দৃষ্টি কাড়ছে প্রতিনিয়ত।

ছোট্ট একটি গোয়াল ঘরে শান্তভাবে বসবাস করছে রাজা। দিনের বেশিরভাগ সময় সে ওই ঘরেই কাটায়। ঘরের ভেতর আলো কম থাকায় ২৪ ঘণ্টাই চালু রাখা হয় ফ্যান ও লাইট। রাজার যত্নে কোনো কমতি নেই। প্রতিদিন তার জন্য সরবরাহ করা হয় কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, ভুট্টা, খেসারি ও জবের সংমিশ্রণে তৈরি ভূষি। গরমের কারণে দিনে দুই থেকে তিনবার তাকে সাবান ও শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়।

সুবাস শিকদার জানান, শহরের হাট-বাজারে বড় গরু তুলতে না পারার কারণে তিনি চান একজন ভালো খরিদ্দার বাড়িতে এসে রাজাকে দেখে দাম দর করে নিয়ে যাক। তিনি বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। এত বড় গরু হাটে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ভালো ক্রেতা পেলে দরদাম করে বাড়ি থেকেই বিক্রি করে দেব।

সুবাস শিকদারের ছেলে প্রশান্ত শিকদার বলেন, আমার বাবা অনেক কষ্ট করে রাজাকে লালন-পালন করেছেন। পরিবারের সবাই এ কাজে সহায়তা করেছি। বহু খরচ হয়েছে। আমরা চাই গরুটির ভালো দাম উঠুক, সাড়ে আট লাখ টাকা হলে আমরা খুশি হব।

গরুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশপাশের এলাকার উৎসুক মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা সুজন বিষ্ণু বলেন, এটা আমার দেখা এ বছরের সবচেয়ে বড় গরু। নামের মতোই দেখতেও একেবারে রাজা।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ৪৭ হাজার ৯৬৩টি, যার মধ্যে গরু রয়েছে ২৪ হাজার ২৬০টি। জেলায় পশুর চাহিদা ৪১ হাজার ৬০১টি, ফলে প্রায় ছয় হাজার ৩৬২টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক বলেন, শাহীওয়াল জাতের গরু সাধারণত আকারে বড় হয়। তবে এত বছর ধরে এত যত্নে বড় করা সচরাচর দেখা যায় না। গরুটি যাতে কোনো ক্ষতিকর উপাদান বা স্টেরয়েড ছাড়া লালন-পালন হয়, সেজন্য আমরা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

রাজবাড়ীর রাজা এখন যেন পুরো জেলার এক বিশেষ আকর্ষণ। সুবাস শিকদারের একান্ত প্রচেষ্টায় গরুটি ঈদের বাজারে নিজের অবস্থান জানান দিবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পিপলসনিউজ/আরইউ

-- বিজ্ঞাপন --


CONTACT

ads@peoplenewsbd.com

বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা এমআই সিক্সের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান হচ্ছেন ব্লেইজ মেট্রেওয়েলি এমআই সিক্সের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান হচ্ছেন ব্লেইজ মেট্রেওয়েলি ঈদযাত্রার ১৫ দিনে ৩৭৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯০ জন ঈদযাত্রার ১৫ দিনে ৩৭৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯০ জন করোনা পরীক্ষায় পুরোপুরি প্রস্তুত নয় সরকারি হাসপাতালগুলো করোনা পরীক্ষায় পুরোপুরি প্রস্তুত নয় সরকারি হাসপাতালগুলো